কেষ্টর জেলায় বিপুল ভোটে জয় কাজলের

Staff Reporter

কেষ্টর জেলায় বিপুল ভোটে জয় কাজলের, ১ম বার লড়েই জেলা পরিষদে একদা অনুব্রত-বিরোধী

কাজল শেখ। একদা অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী শিবিরের নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন বীরভূমে। অনুব্রতের কারাবাসের পরে ১ম বার জেলা পরিষদে প্রার্থী হন। বড় ব্যবধানে জয়ও পেলেন।

অনুব্রত মণ্ডল জেলে। রাজ্যেও নয়, দিল্লির তিহাড় হাজতে বন্দি। আর তারই মধ্যে জ্যেষ্ঠ ব্যবধানে বিজয় পেলেন বীরভূমে একদা কেষ্ট-বিরোধী পরিমাণে অবগত কাজল শেখ। অনুব্রত কক্ষনো ইলেকশনে প্রার্থী হননি। নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। কাজলও অতীতে ভোটে লড়েননি। এই প্রথম বার জেলা পরিষদে প্রার্থী হন। নিজের লড়াইয়ের সঙ্গে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বও ছিল তাঁর কাধে। নিজে জিতলেন। দলও ক্রমেই এগিয়ে চলেছে। জেলা তৃণমূলের দাবি, কাজল জিতেছেন ৪৪ হাজার ভোটে।

কাজলকে নিয়েও কম বিতর্ক প্রস্তুত হয়নি। অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেও তৃণমূল জেলা সভাপতি পদ থেকে সরায়নি কেষ্টকে। কিন্তু জেলায় ১টি কোর প্রস্তুত করে দেয়। তার সদস্য হন কাজল। বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে কাজলের ‘মধুর’ সম্পর্কের কথাও সকলের জানা। তবু টিমের হয়ে উনি হাজত জুড়ে ঘুরেছেন। ভোটের দিনেও অ্যাকটিভ ছিলেন তিনি। নিজের বিজয় নিশ্চিত করার পরে জেলাতেও উনি টিমের জয় পতকা তুলে ধরতে কতটা উপযোগী হন সেটাই দেখার। কেষ্ট জমানার ফলকে কি টপকে যেতে পারবেন তিনি?

Advertisement

জেলার সম্পূর্ণ ফলঘোষণার আগে সেই প্রশ্ন হতে যাবে। সঙ্গে ১টি বিষয়ও খেয়াল রাখতে হবে যে ২০১৮ সালে এই জেলায় বহু আসনেই বিনা লড়াইয়ে জিতেছিল তৃণমূল। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের ২,৮৫৯ আসনের মধ্যে ১,৫৫২ আসনে বিজয় লাভ করে গিয়েছে তৃণমূল। ওই জায়গা বিজেপি ১৫১ এবং বাম-বিজেপি ৭৮। তবে ভোটের প্রচারে কেষ্টর ‘খেলা হবে’ স্লোগানেই ভরসা রেখেছিলেন কাজল। নানুরে বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা রাতের অন্ধকারে প্রচারের নামে আদিবাসী, অনুন্নত সম্প্রদায়ের মানুষজনকে টাকা দিয়ে, মদ খাইয়ে ত্রুটি বোঝাতে আসবেন, ওঁদের দেখে নেওয়া হবে! তখন খেলাও হবে!’’

আরও পড়ুন

Latest articles

Leave a Comment

%d bloggers like this: