প্রয়োজনে জমি

Staff Reporter

প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করে পুনর্বাসন, ব্যবসায়ীদের ৫ লক্ষ টাকা করে ঋণ’ মঙ্গলাহাট নিয়ে বড় বার্তা

প্রয়োজনে জমি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন নিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নবান্ন তৈরি হওয়ায় ওই ভবনে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া যায়নি, তা ঠিক নয়। অপপ্রচার চলছে। প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করে, মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন নিয়ে সিপিএম অপপ্রচার করছে। তারা বলছে, নবান্ন তৈরি হওয়ায় ওই ভবনে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া যায়নি। এটা ঠিক নয়। নবান্ন তৈরি হওয়ার আগেই মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু কিছু জমি সমস্যার কারণে পুনর্বাসন করা যায়নি। আমরা সেই জমি অধিগ্রহণ করে, মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করব।”

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিপিএম মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন নিয়ে অপপ্রচার করছে কারণ তারা জানে যে এটি একটি জনপ্রিয় প্রকল্প। মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা অনেকদিন ধরে পুনর্বাসনের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরা তাদের পুনর্বাসন করব এবং তাদের নতুন জায়গায় ব্যবসা শুরু করার সুযোগ দেব।”

Advertisement

mamata banerjee

হাওড়ার মঙ্গলাহাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা চাইছেন, সরকার তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক। কিন্তু সরকার বলছে, তারা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে।

মঙ্গলবার, মঙ্গলাহাটে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডটি ছিল ইচ্ছাকৃত। সরকার ব্যবসায়ীদের প্রতিশোধ নিতেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডটি ছিল দুর্ঘটনা। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

মঙ্গলাহাটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আর্থিক সহায়তা পাবেন।

মঙ্গলাহাটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

Advertisement

সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এদিন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নবান্ন ভবনের ১৪ তলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্টুডিও রয়েছে। তিনি এই স্টুডিওটি সরিয়ে দিতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন নিয়ে কোনও রাজনীতি নেই। তিনি বলেন, মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা সেখানে আসেননি বলে, বহুতলটি খালি পড়ে ছিল। তারপর সেখানে নবান্ন হয়েছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনে রাজ্য সরকার সেই জমি অধিগ্রহণ করে দোকান বানিয়ে, ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে চান। তিনি বলেন, তিনি মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের পাশে আছেন।

Advertisement

mamata banerjee

মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক রাজকুমার সাহা এদিন বলেন, “আমরা চাই না, ব্যবসায়ীদের এখান থেকে সরতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, আমরাও চাই এই জমিটা অধিগ্রহণ করে আমাদের স্থায়ী জায়গা করে দেওয়া হোক।”

অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডের পর, সোমবার থেকে ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবেছিলেন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের একাংশ। কিন্তু, এদিন গিয়ে সেখানে আবর্জনা ও পোড়া দোকানের অংশ পড়ে থাকতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। এদিন মঙ্গলাহাট পরিদর্শনে যান ফিরহাদ হাকিম। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী এদিন বলেন, আগামী সোমবার থেকে হাট খুলে দেওযা হবে।

Advertisement

মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক রাজকুমার সাহা বলেন, “আমরা চাই না, ব্যবসায়ীদের এখান থেকে সরতে হবে। আমরা অনেকদিন ধরে এই জায়গায় ব্যবসা করছি। আমাদের এখানেই ভালো লাগে। আমরা চাই, সরকার আমাদের এই জায়গায়ই পুনর্বাসন করুক।”

পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করব। আমরা এই জায়গায়ই তাদের জন্য নতুন দোকান বানিয়ে দেব। আগামী সোমবার থেকে হাট খুলে দেওযা হবে।”

মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, সরকার তাদের পুনর্বাসন করবে। তারা আশা করছেন, তারা খুব শীঘ্রই তাদের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Latest articles

Leave a Comment

%d bloggers like this: