দেগঙ্গায় তৃণমূলের মিছিলে বোমা, অভিযোগ সিপিএম

Staff Reporter

দেগঙ্গায় তৃণমূলের মিছিলে বোমা, অভিযোগ সিপিএম, আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে, নিহত ১৭ বর্ষের কিশোর

নিহতের কাকা মহম্মদ আরসাদুল হক নিজেকে দীর্ঘ দিনের তৃণমূল সাপোর্টার বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, “আমাদের মিছিলে বোমা ছুড়েছে সিপিএম, আইএসএফ। আমরা চাইব প্রশাসন যেন দোষীদের যোগ্য সাজা দেয়।”

পঞ্চায়েত ভোটের চার দিন প্রথমে আবার উত্তাপ হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। মঙ্গলবার ওই স্থান ‘বোমা’র আঘাতে এক তৃণমূল সমর্থকের ভাইপোর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় সিপিএম তার সাথে আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে নালিশের আঙুল তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। যদিও এই বিষয়ে সিপিএম এবং আইএসএফ-এর বক্তব্য জানা যায়নি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের বারাসত আইনজীবী তোলা হবে।

দেগঙ্গার শোয়াইসেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙার্টি গ্রামে মিছিল করে যাচ্ছিলেন তৃণমূল সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই মিছিলকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। বিস্ফোরণে সাংঘাতিক জখম হন ১৭ সালের তরুণ। তাঁকে দেগঙ্গা ব্লকের বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ ডাক্তারখানায় নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহতের কাকা মহম্মদ আরসাদুল হক নিজেকে দীর্ঘ দিনের তৃণমূল সাপোর্টার বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, “আমরা মিছিল করে যাচ্ছিলাম। আমার ভাইপো ইবরাম হোসেনও আমাদের সঙ্গে যাচ্ছিল। মিছিলে হঠাৎই বোমা ছোড়ে সিপিএম, আইএসএফ-এর লোকেরা।” প্রশাসনের নিকট বিচার চেয়ে তিনি বলেন, “আমরা চাইব প্রশাসন যেন দোষীদের উপযুক্ত সাজা দেয়।” পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত কিশোর স্থানীয় একটি স্কুলের ১১শ শ্রেণির পড়ুয়া।

Advertisement

তৃণমূল তার সাথে আইএসএফ সংঘর্ষে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে গিয়ে ছিল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাও। পঞ্চায়েতের ২৩০ তার সাথে ২০৯ নম্বর বুথ অঞ্চলে দুই রাজনৈতিক টিমের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জনের আঘাতগ্রস্থ হওয়ার খোজ-খবর পাওয়া যায়। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। নামানো হয় র‌্যাফও। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দলীয় পতাকা বাঁধাকে কেন্দ্র করে আইএসএফ এবং তৃণমূল গন্ডগোল আরম্ভ হয় দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়কোলা এলাকায়। ওই সংঘর্ষে দুই পক্ষের পাঁচ জন আঘাতগ্রস্থ হন। সিচুয়েশন এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, দেগঙ্গা উপজেলার বৃহৎ পুলিশ বাহিনী গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে দু’দলের সহযোগীদের ছত্রভঙ্গ করে। কিন্তু এর পরও সম্পন্ন হয়নি অশান্তি। পরস্পরের বিপক্ষে এলাকায় বোমাবাজি করার অভিযোগ তোলে আইএসএফ এবং তৃণমূল।

ওই ঘটনার এক ঘণ্টার ভিতরে চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বক্সিরহাটি ২০৯ নম্বর বুথে সিপিএম এবং তৃণমূলের আরম্ভ হয়। ইহাকে অপরের গাড়ি ভাঙচুর হতে শুরু করে মারামারিতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আঘাতগ্রস্থ হন। জখমদের ভিতরে আছেন মহিলারাও। এই দুই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবারও রাজনৈতিক হিংসায় অত্যন্ত গরম হল দেগঙ্গা। সেই হিংসার বলি হলেন ১৭ বছরের তরুণ।

আরও পড়ুন

Latest articles

Leave a Comment

%d bloggers like this: